গোপালপুর স্মৃতি সৌধের ইতিহাস ১৯৭১ সালের ২০ আগষ্ট এবং বাংলা ১৩৭৮ সালের ৫ ভাদ্র শুক্রবার রাত্র ০২ঃ০০ ঘটিকার সময় শ্যামনগর উপজেলা সদরে গোপালপুর গ্রামে সম্মুখ সমরে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক হানাদার বাহিনীর যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে শহীদ হয় মরহুম মেজর (অবঃ) জলিলের নেতৃত্বে গড়া ৯ নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার ইলিয়াস খান ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সহ সাতজন মুক্তিযোদ্ধা। অত্র উপজেলার ভুরম্নলিয়া গ্রামের মৃত নছিমুদ্দীন গাইনের পুত্র মেহেরম্নলস্নাহ গাইন ঐ দিন শুক্রবার স্থানীয় গ্রাম বাসীদের সহযোগিতায় সম্মুখ সমরে শহীদ চার মুক্তিযোদ্ধার লাশ এই স্মৃতি সৌধের অনতিদূরে ধান ক্ষেতের পাশের আইলে সমাহিত করেন যা আজও সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ভুরম্নলিয়া গ্রামের জনাব মেহেরম্নলস্নাহ গাইনের তত্বাবধানে এলাকা বাসীর সহযোগিতায় ১৯৭২ সালে জানুয়ারী মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে গোপালপুরে সেই রণক্ষেত্রে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরম্ন হয় এবং মে মাসে তা শেষ হয়। তৎকালীন সময়ের এমসিএ জনাব এ,কে ফজলুল হক স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করেন । পরবর্তীতে উক্ত স্মৃতি সৌধটি কালের পরিক্রমায় অবকাঠামো দূর্বল হয়ে যাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ দৌলতুজ্জামান খাঁন এর উদ্যোগে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় বর্তমানের জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে অত্র স্মৃতি সৌধটি ২০১২ সালে (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) নির্মিত হয়। উপজেলা ভুরম্নলিয়া গ্রামের মৃত নছিমুদ্দীন গাইনের পুত্র মেহেরম্নলস্নাহ গাইন ঐ দিন স্থানীয় গ্রাম বাসীদের সহযোগিতায় সম্মুখ সমরে রণক্ষেত্রে শহীদ চার মুক্তিযোদ্ধার লাশ এই স্মৃতি সৌধের অনতিদুরে ধান ক্ষেতের পাশে সমাহিত করেন। যা আজও সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্দা জনাব সুবেদার ইলিয়াসের পিতা কুষ্টিয়ার জনাব মোবারক আলী খান সমত্মানের সন্ধানে শ্যামনগরে আসেন এবং মেহেরম্নলস্নাহ গাইনের সহযোগিতায় পুত্রের কবর সনাক্ত করেন । ঐ সময় শোকাভিত হয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্দা জনাব সুবেদার ইলিয়াসের পিতা কুষ্টিয়ার জনাব মোবারক আলী খান মৃত্যু বরন করেন । তাকেও পুত্রের পাশে সমাহিত করা হয় । সেই ৭২ সাল থেকে ২০১২ সালের জুলাই মাস পর্যমত্ম ২২ ফুট উচ্চতার সেই স্মৃতি স্থম্ভটি দন্ডায়মান ছিল। বর্তমানে জুলাই মাসে শ্যামনগর উপজেলার বর্তমান নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ দৌলতুজ্জামান খাঁন এর উদ্যেগে সরকারী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের আথিক সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণায় একই স্থানে জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে একটি নতুন স্মৃতি সৌধ নির্মান কাজ করা হয়েছে। স্মৃতি সৌধটি শ্যামনগর বাসীর প্রানের দাবী ছিল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস